বিজ্ঞান বার্তা ::::: এপ্রিল – ’১২

বিজ্ঞান ও

আবিষ্কারমূলক

সংবাদ

 

 

বৃষ্টি পরিমাপ করার যন্ত্র এসেছে

 

এসেছে বৃষ্টি পরিমাপ করার যন্ত্র। এ যন্ত্রে পানি সংগ্রহ করে তার গভীরতা নির্ণয় করে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ পরিমাপ করা হয়। বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্রে একটি সংগ্রাহক চোঙ থাকে। এর মুখের ব্যাস ১২৫ বা ২০০ মিলিমিটার (৫ বা ৮ ইঞ্চি)। এর উচ্চতা ভিত্তি থেকে ৩০ সে. মিটার বা ১২ ইঞ্চি।

বৃষ্টির পানি চোঙের মধ্য দিয়ে একটি চিকন সংগ্রাহক নলে জমা হয়। এ নল থেকে বৃষ্টির পানি একটি পরিমাপক ফাক্সে নিয়ে দৈর্ঘ্য পরিমাপ করা হয়।

– মেছবাহউদ্দিন সোহান

 

দূষণ কমাতে লেসার

 

নদীর দূষণ নিয়ে সারাবিশ্বে তোলপাড়। চিন্তিত পরিবেশবিদরা। এই অবস্থায় দক্ষিণ ইংল্যান্ডের দু’টি গবেষণাগারের তৈরী চটজলদি পানির দূষণ মাপার লেসার যন্ত্র অত্যন্ত কার্যকর এতে সন্দেহ নেই।

ক্রাসফিল্ড ইউনির্ভাসিটি সেন্টারের রফি আহমেদের তৈরী দূষণ মাপার লেসার যন্ত্র থেকে লেসার রশ্মি পানির ওপর ফেললে সাথে সাথেই নাইট্রেট, কোরাইড, ফসফেটের মত দূষণের পরিমাপ পর্দায় ভেসে উঠবে, জানা যাবে নদী বা অন্যান্য জলাশয়ের দূষণ মানচিত্র।

– আকাশ কামরুল

 

নেশাগ্রস্ত ড্রাইভারকে ঠেকাবে যন্ত্র

 

নেশাগ্রস্ত হয়ে গাড়ী চালানো যেমন ড্রাইভারের জন্য বিপজ্জনক, তেমনি আরোহীদের জন্যও। মাতাল হয়ে ড্রাইভিং সমস্যার সমাধানে সেফটি ইন্টারলক নামক মার্কিন কোম্পানী একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছে। এই যন্ত্রটি গাড়ীতে বসিয়ে দিলে, ড্রাইভার নেশাসক্ত হলে গাড়ীটি আর চলবে না।

ইন্টারলকের তৈরী যন্ত্রটির নাম সোবারলাইজার। এটা মূলত শ্বাস প্রশ্বাসের পরীক্ষক হিসেবে কাজ করে। গাড়ীর স্টার্টারের সাথে একটি ক্যাবল দিয়ে সংযুক্ত করা হয় এই যন্ত্র। গাড়ী চালু করতে হলে চাবি ঘোরানোর পর সোবারলাইজারে নিঃশ্বাস ফেলতে হয়। নিঃশ্বাসে এলকোহলের গন্ধ থাকলে কোন অবস্থাতেই সেই গাড়ী চালু হবে না।

– নাজমুল হক শ্যামল

 

এলো চোর, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী ধরার যন্ত্র!

 

চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও চোরের উপদ্রব থেকে বাঁচতে সম্প্রতি কানাডার এক প্রতিষ্ঠান এসব অপরাধীদের ধরার জন্য একটি বিশেষ স্প্রে মেশিন বের করেছে। যার সাহায্যে চোরকে সহজেই ধরে ফেলা যাবে।

ডাইরো নামের এই স্প্রে মেশিনটি যে কেউ পকেটে পুরে রাখতে পারবে। এর সাহায্যে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী অথবা পলায়নরত ছিনতাইকারীদের ওপর এক ধরনের বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে পুলিশের পক্ষে অপরাধী খুঁজে বের করা সম্ভব হবে। এই স্প্রেটি মানুষের জন্য মোটেও বিষাক্ত নয়।

– মোজাম্মেল প্রধান

 

মাইন উদ্ধারে নতুন পদ্ধতির যন্ত্র আবিষ্কার

 

বর্তমান বিশ্বে প্রায় ১০ কোটি ল্যান্ডমাইন ছড়িয়ে আছে – সেগুলো বছরে গড়ে ২৬ হাজার মানুষকে আহত করে, এমনকি প্রাণ কেড়ে নেয়। জার্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকরা মাটির নীচে ঘাপটি মেরেথাকা এসব ভয়ঙ্কর দানবকে চিহ্নিত করার এক নতুন উপায় রাডার হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর পরিবর্তে এই নতুন পদ্ধতিতে মাটির ভেতর দিয়ে এক ধরনের কম্পন ছেড়ে দেয়া হবে। মাটির ভেতর এরা যখন কোন মাইনকে অতিক্রম করবে, তখন তাদের গতিতে হঠাৎ পরিবর্তন হবে। এই পরিবর্তনের তথ্য কম্পিউটারে সঞ্চার ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে মাইনগুলোর অবস্থান সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।

– শহিদুল ইসলাম কবির

 

যে চশমা স্মৃতি জাগাবে

 

কেমন হয় যদি চশমাটি দেখার কাজে সাহায্য করা ছাড়াও স্মৃতির দুয়ারে নাড়া দিয়ে ভুলে যাওয়া কোন কিছুকে স্মরণ করিয়ে দেয়? হ্যাঁ, এমনটি বিবেচনায় এনেই তৈরী প্রক্রিয়া চলছে ‘মেমোরি গ্লাস’ বা স্মৃতি জাগানিয়া চশমার। এর ফ্রেমটা হবে এমন যা আপনার স্মৃতিকে সজাগ রাখতে সাহায্য করবে। আপনি মুদি দোকানে গিয়ে বিস্কুট কিনতে ভুলে যান অথবা বাড়ী ফেরার পথটা ভুলে যান, তখনই ইয়ারপিসের সাহায্যে চশমাটি আপনাকে বলে দেবে যে, ‘আপনি বিস্কুট কিনতে ভুলে গেছেন, অথবা বাড়ী যেতে হলে আপনি বাঁ দিকের পথ ধরুন’।

বয়স হলে অনেকে অনেক কিছু মনে রাখতে পারে না। তাদের কথা বিবেচনা করে নিউইয়র্কের ‘সেন্টার ফর ফিউচার হেলথ’ নামক একটা প্রতিষ্ঠানের ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়াররা এ জাতীয় ছোটখাটো যন্ত্র উদ্ভাবনে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেছেন।

– নবীন নাসিম

 

সবচেয়ে বড় মহাশূন্য টেলিস্কোপ

 

‘নাসা এডউইন পি হাবল’ হচ্ছে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মহাশূন্য টেলিস্কোপ। এই টেলিস্কোপ ১৩১ মিটার দীর্ঘ এবং এর প্রতিফলকের দৈর্ঘ্য ২.৪ মিটার। হাবল টেলিস্কোপের নির্মাণ ব্যয় ২১০ কোটি ডলারÑযা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১০.৩০০ কোটি টাকা। ১৯৯০ সালে একটি মার্কিন নভোযানের সাহায্যে একে কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। এই টেলিস্কোপের সাহায্যে মহাশূন্যের অনেক ছবি তোলা সম্ভব হয়েছে।

ডেল্টা ব্লিপার নামের পরীক্ষামূলক রকেট ১৯৯৩ সালে নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট সান্ডেস মিসাইল রেঞ্জ থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। পূর্ণ ব্যবহারযোগ্য ‘ডেল্টা ব্লিটার’ উৎক্ষেপণ একটি প্রাথমিক পরীক্ষা।

– মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

 

দুর্গন্ধ প্রতিরোধক কাপড় তৈরী হয়েছে

 

জুতা পায়ে দিলে প্রায় প্রত্যেকের মোজায়ই বিশ্রী দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে শীতের দিনে দুর্গন্ধের পরিমাণ তীব্র হয়। আর এই তীব্র দুর্গন্ধ দৃষ্টি করে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া।

শুধু মোজা কেন, পুরুষ-মহিলাদের আন্ডার গার্মেন্টসেও দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। তাই এই দুর্গন্ধ দূর করার জন্য কেটিঅল্ডস ফাইবার নামে একটি বৃটিশ কোম্পানী নতুন ধরনের এক প্রকার কাপড় আবিষ্কার করেছে, যা দুর্গন্ধ প্রতিরোধ করেছে।

এই কাপড়ের নাম এ্যামিকর। এ্যামিকর দিয়ে তৈরী মোজায় প্রচুর পরিমাণে ট্রাইকোসেন থাকায় তা দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করে। ফলে মোজায় বা আন্ডার গার্মেন্টসে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয় না।

– আনজুমান আরা নিপা

Related posts

One Thought to “বিজ্ঞান বার্তা ::::: এপ্রিল – ’১২

  1. Syed

    Hahaahha. I’m not too bright today. Great post!

Leave a Comment